শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মেলার নামে জুয়া অশ্লীলতা বিপথগামী যুব সমাজ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে চলছে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য। এ সব হচ্ছে বিজয় মেলার নাম করে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে অনুমতি নিয়ে জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে মেলার যাবতীয় স্বত্ব। জুয়ার ফাঁকে ফাঁকে চলছে মরণনেশা ইয়াবা সেবন। জেলা ও উপজেলা শহরে মাইকিং করে বিক্রি করা হয় জুয়া হাউজির টিকিট। এতে বিপথগামী হচ্ছে স্থানীয় যুব সমাজ। জানা যায়, ঝিনাইদহ রেজিস্ট্রি অফিস, শৈলকুপার কড়াইতলা ও হাটগোপালপুর এলাকায় সম্প্রতি র‌্যাব অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর ও নৃত্যমঞ্চ ভেঙে দেন। এরপর নতুন করে শৈলকুপার মদনডাঙ্গা, মহেশপুরের বলিভাদ্রপুর ও হরিণাকুন্ডু শহরে শুরু হয়েছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ। মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় এই দুটি নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের নামে চালানো হচ্ছে জুয়ার আসর। সরজমিনে দেখা গেছে, একটি ভুঁইফোড় ক্লাবের নামে মহেশপুরের বলিভাদ্রপুর গ্রামে তপন নামে এক ব্যক্তি জুয়া, ওয়ানটেন ও ফোর গুটির আসর বসিয়েছেন। সন্ধ্যা হলেই লাল নীল আলোয় ঝলমলিয়ে উঠছে আসর। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ উঠেছে তাদের সহায়তায় এসব করা হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলার মদনডাঙ্গায় ভুট্টো নামে এক ব্যক্তির সহায়তায় বসানো হয়েছে ওয়ানটেন ও জুয়া। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতভর আসর চলার পর সকালে ঘাটে ঘাটে যার যার প্রাপ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মেলার নামে আয়োজকরা যা ইচ্ছা তাই করছে। হরিণাকুন্ডু পৌরসভার পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গিয়ে জুয়ার আসর বসছে। সেখানেও সুস্থ সংস্কৃতির কোনো চর্চা নেই বলে জানান স্থানীয়রা। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে যাত্রাসহ সুস্থ বিনোদনের অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু অনুমতি নেওয়ার পরই আয়োজকদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। ঝিনাইদহ জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীন জানান, তিনি নগ্নতা ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে। যাত্রাপালার অনুমতি নিয়ে যারা এগুলো করেন তাদের প্রতিরোধ করা হবে।

সর্বশেষ খবর