শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কনকনে ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

কুড়িগ্রাম ও লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীত ও কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। সন্ধ্যা নামার আগেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা জনপদ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছে খেটে খাওয়া মানুষসহ বৃদ্ধ ও শিশুরা। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক মো. জাকির হোসেন জানান, এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতের দাপট সবচেয়ে বেশি পড়ে নদীকূলে। কনকনে হিমেল হাওয়ায় এবারও স্থবির হয়ে পড়েছে মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরের জনজীবন। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ জেলে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ শীতে দুর্ভোগে পড়েছে। সরকারি বেসরকারি কোনো শীতবস্ত্র পাননি বলে জানান উপকূলের এসব হতদরিদ্র মানুষ।

গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে কম্বল বিতরণ : গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন এনআরবি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান। গতকাল সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় এনআরবি ব্যাংকের উদ্যোগে ১ হাজার ৫০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুত্ফর রহমান বাচ্চু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসমত আলী সিকদার চুন্নু, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী প্রমুখ। এদিকে ঝিনাইদহে সিও এনজিও উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া সিও কনভেনশন সেন্টার মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ মণ্ডল, মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, জাকারিয়া হোসেন, আবদুল মতিন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার, তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর