শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আদালত প্রাঙ্গণে তহসিলদারকে পেটালেন আইনজীবী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক এক আইনজীবীর মারধরের শিকার হয়েছেন এক উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার)। গতকাল দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই তহসিলদারের   নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার। অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া আদালতের স্পেশাল পিপি ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন রিমন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শংকরদিয়া গ্রামের জনৈক জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) কয়েকজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে গোস্বামী দুর্গাপুর ইউপি ভূমি কার্যালয়ে ভূমি সেবা নিতে জালিয়াতির চেষ্টা করে। গত ৮ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় এ ব্যাপারে ওই ভূমি অফিসের তহসিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মামলাটি কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার চলছে। মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আদালত তার কাছে মামলার সপক্ষের কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল। এ কারণে তিনি গতকাল সকাল ১১টায় আদালতে যান। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেনের জামিনের আবেদন করেন। তবে তিনি (তহসিলদার) স্বাক্ষর জালিয়াতি সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করায় বিচারক আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বের হওয়ার পর শরীফ উদ্দিন রিমন তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। এদিকে তহসিলদার তাত্ক্ষণিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জানালে জেলা প্রশাসক জহির রায়হান হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার জন্য মিজানুর রহমানকে নির্দেশ দেন। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু হেনা মোস্তাফা কামাল বলেন, সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও কাজে বাধাদান বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ উদ্দিন রিমন বলেন, মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

সর্বশেষ খবর