ভোলার চরফ্যাশনের কালিরচর ও তারুয়ায় নির্বিচারে অতিথি পাখি নিধন চলছে। পাখি শিকারি ও স্থানীয় একটি মহল বিষটোপ ও জাল দিয়ে প্রতিদিন শত শত অতিথি পাখি নিধন করছে। স্থানীয় কুকরি বনবিভাগ ও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শিকারিরা বেপরোয়া। তীব্র শীতপ্রধান দেশ থেকে লাখ লাখ অতিথি পাখি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশনের তারুয়া, কুকরিমুকরি, মনপুরা, ঢালচর, চর পালিতাসহ অন্তত ২০-৩০টি চরে আসে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের কলকাকলিতে চরগুলো মুখর হয়ে উঠেছে। অতিথি পাখিগুলো এখানে উষ্ণতা পেলেও নিরাপদ আবাসস্থল পায়নি। শিকারিদের দৌরাত্ম্যে পাখির কোনো নিরাপত্তা নেই। খাদ্যের সন্ধানে রংবেরঙের পাখা মেলা এসব পাখি উড়তে গিয়েই শিকারিদের হাতে ধরা পড়ছে। এক শ্রেণির শিকারি ধানের সঙ্গে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে ও জাল ফেলে নির্বিচারে পাখি শিকার করছে। চরফ্যাশন উপকূলীয় যেসব চরে অতিথি পাখিদের ব্যাপক অবস্থান রয়েছে এগুলো হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা মনপুরার চর নিজাম, ঢালচর, চর শাহজালাল, চর শাজাহান, কুকরির পশ্চিম চর, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, লালমোহনের কচুয়ার চর, মেঘনার মাঝের চর, শিবপুর চর, হাতিয়ার চরবারি, নিঝুম দ্বীপ, দমার চর, টেগরারচর। পাখি বিশেষজ্ঞ সাজাহান সর্দারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে আসা অতিথি পাখিদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোলার উপকূলে আসে।