বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মামলা আতঙ্কে ৩০ পরিবার বাড়িছাড়া

জড়িত নয় এমন ব্যক্তিরা আসামি

মাগুরা প্রতিনিধি

সুজন শেখ নামে এক বাসচালক খুনের ঘটনায় করা মামলায় গণ আসামি হওয়ার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছে মাগুরা সদরের মালিকগ্রামের ৩০ পরিবারের সদস্যরা। কোনো কোনো পরিবারে নারী ও শিশু সদস্য ছাড়া কেউ বাড়িতে নেই। কারও কারও বাড়ি পুরোপুরি তালাবদ্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দা বক্কার মোল্যা জানান, ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। কিন্তু তাকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে বাড়িতে থাকা নারী শিশু মিলিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়। এছাড়া তার ২৮ বিঘা জমির পেঁপে, ১০ একরের পাটসহ ২০ একর জমির কৃষি খামার হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভুগীরা জানান, কোনো কোনো বাড়িতে নারী ও শিশু সদস্যরা পর্যন্ত থাকতে পারছেন না মামলা ও হামলার ভয়ে। এলাকাবাসী খলিল, হারুণ ও আনোয়ার জানান, পাঁচ বছরে মালিকগ্রামে চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সব খুনে এলাকার বহু পরিবার মামলায় পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালে এক সঙ্গে তিনটি হত্যার ঘটনা ঘটে। সেই ট্রিপল মার্ডারে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর লুটপাট হয়। দীর্ঘ দুই বছর এই তিন খুনের মামলায় পড়া গণআসামিরা এলাকায় ফিরতে পারেননি। গত বছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সবাই বাড়ি ফিরেছেন। এর মধ্যে গত ৩ জুন সুজন শেখ নামে বাইরের এলাকার এক বাসচালক মালিকগ্রাম বাজারে খুন হন। এই খুনের ঘটনা ঘটে শুধু দুজনের বিরোধকে কেন্দ্র করে। অথচ মামলা দেওয়া হয়েছে অন্যদের নামে। এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা হোসেন আল মাহবুব জানান, আটজনের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসীকে তারা আশ্বস্ত করেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সর্বশেষ খবর