শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘খালি মাপি যায় পুল তো আর হয় না’

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি

‘খালি মাপি যায় পুল  তো আর হয় না’

বারোমাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত সাঁকো —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা-পশ্চিম ফুলমতি সড়কের বারোমাসিয়া নদীতে সেতু না থাকায় ২৬ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তারা। এলাকাবাসী জানান, স্বাধীনতার পর দুই পাড়ের মানুষ নদীর উপর বাঁশ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো তৈরি করেন। যে ধারা এখনো অব্যাহত আছে। এই সাঁকো  দিয়ে  উত্তর শিমুলবাড়ী, নাওডাঙ্গা, শালমারী, কিশামত, তালুক শিমুলবাড়ী, বালাতাড়ি, পূর্ব ও পশ্চিম ফুলমতি, ঝামাকুটি, গজেরকুটি, মলিল্লকারকুটি, বোয়ালমারী, খাড়াপাড়া, খারুয়ার চড়, গোরকমণ্ডল, বস্তি গোড়কমণ্ডল, চরগোরক মণ্ডলসহ ২৬ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। নদীর দুই পাড়ে আছে স্কুল, মাদ্রাসা-কলেজ। ফলে ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। বর্ষা মৌসুমে বন্যা হলেই সাঁকো দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন নৌকাই হয়ে ওঠে পারাপারের একমাত্র ভরসা। গোড়কমণ্ডল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ‘তিন-চার মাস ধরি উপজেলা থাকি ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোক খালি মাপি যায়। পুল তো আর হয় না।’ ঝাউকুটি গ্রামের নুরল হক জানান, এই পথ দিয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদসহ ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে যেতে হয়। সেতু না থাকায় সদরে কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে না পারায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কলেজছাত্র মতিন ইসলাম বলেন, ‘এসব গ্রামের অনেকে উপজেলা শহরের স্কুল-কলেজে পড়ে। সেতুর অভাবে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বর্ষার সময় সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়, ঘটে দুর্ঘটনা। ভয়ে ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না।’ নাওডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলি বলেন, ‘সতুটি হওয়া জরুরি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি।’ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী সামশুল আরেফিন জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর