তিন জেলায় সংঘর্ষে ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, সালথায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বসত-ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার বিকেলে সালথা বাজারে ভাওয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব মাতুব্বরের সমর্থক জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে মোফাজ্জেল মাতুব্বর ওরফে মোকা হাজীর সমর্থক এসকেন্দারের বাকবিতান্ডা হয়। এর জেরে দুই পক্ষ কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নড়াইল : এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সারোল গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সরোল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নড়াইলের সারোল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলম ও খোকন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার রাত ৮টার দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, সড়কি ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। দাউদকান্দি : কুমিল্লার দাউদকান্দির স্থানীয় রামায়েতকান্দিতে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফজলু শিকদার ও রাজা মেম্বারের পরিবারের মধ্যে গতকাল হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ফজলু শিকদার পরিবারের ১০ পুরুষ ও নারী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন আ. মান্নান, সাগর, কামরুল হাসান, তোফাজ্জল শিকদার, ফজলুল, আমেনা, আরমান। এ ঘটনায় মোস্তাক শিকদার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় রাজা মিয়া, জামাল মিয়া, মালু বেপারি, মোশারফ বেপারিসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।