রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাদকবিরোধী অভিযানের নামে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সাধারণ মানুষ হয়রানিসহ, চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঘাটাইল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কমিটির অন্য সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

প্রায় দুই মাস আগে ঘাটাইল থানায় যোগদান করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন। তিনি যোগদানের পরই মাদকবিরোধী অভিযানে নামেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই তার এই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অভিযোগ আছে, মাদকবিরোধী অভিযানকে পুঁজি করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘুষবাণিজ্য, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। হয়রানির শিকার হন বহু নিরীহ মানুষ।

গত ১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু জানান, পেচারআটা গ্রাম থেকে মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে মুজাহিদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাকে আদালতে পাঠানো হয় অন্য মামলায়। পরিবার ও স্থানীয় রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান, মুজাহিদ কখনই মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল না। তাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারের পর দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১১ জুলাই সাগরদিঘী বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে এএসআই মুসফিক বাসায় ডেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মাদক বিক্রির সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে। আক্তারের বাবা ছাত্তার জানান, মামলায় রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা নেন এএসআই। একই কায়দায় উপজেলার কাশতলা গ্রাম থেকে আটক করা হয় দিগড় ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার রউফ গুডুকে। পরিবারের ভাষ্য, দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। সম্প্রতি লোকেরপাড়া ইউনিয়নের গৌরিশ্বর থেকে মোটরসাইকেলসহ দুই আরোহীকে আটক করে মামলার ভয় দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা আদায় করে পুলিশ। কমিটির অন্য সদস্যরাও পুলিশের অনিয়মের বিষয়ে বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া ওসির বিরুদ্ধে নিয়মবর্হিভূতভাবে থানা এলাকার সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে। ওসি মহিউদ্দিন জানান, যদি কেউ অন্যায় করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ার-টেবিল বানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সর্বশেষ খবর