শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
পদ্মার ভাঙনে তিন লঞ্চডুবি

স্রোতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

স্রোতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

নদীপাড়ে স্বজনদের আহাজারি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটে ডুবে যাওয়া ৩টি লঞ্চে থাকা ১৫ যাত্রীর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাতে পারছে না। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা বৃহস্পতিবার  সারা দিন ওয়াপদা, সুরেশ্বর ও দুলারচর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে অপেক্ষা করেছেন। ডুবে যাওয়া নড়িয়া ২ লঞ্চের সুকানি একই উপজেলার বিঝারী গ্রামের সজল তালুকার নিখোঁজ। তার সন্ধানে সুরেশ্বর ঘাটে বৃহস্পতিবার সারাদিন অপেক্ষা করেছেন তার স্ত্রী কল্পনা আক্তার। পাঁচ বছর বয়সি ছেলে ও আঠার মাস বয়সি মেয়েকে কোলে নিয়ে আহাজারি করছেন। চন্ডিপুর গ্রামের মোতালেব মোল্যা বলেন, নবজাতক ভাগনিকে নিয়ে বোন, ভগ্নিপতি ও আমার মা ঢাকা থেকে ফিরছিল। বোন, ভাগনি ও মা আমাদের ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে গেল। বোনের লাশ পেলাম। মা ও ভাগনিকে পাইনি। ট্রলার নিয়ে পদ্মায় তাদের সন্ধান করছি। সোমাবর পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির স্রোতে পন্টুনে নোঙর করা তিনটি লঞ্চ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া মৌচাক লঞ্চটি ওই ঘাট থেকে ঢাকায়, নড়িয়া-২ ও মহানগরি লঞ্চটি নারায়নগঞ্জে চলাচল করত। লঞ্চে থাকা দুই যাত্রী ও ১৩ কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার সুরেশ্বর এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই যুবকের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর দাফন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর