শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে মৃত ব্যক্তির নামে ওয়ারেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর নওপাড়া গ্রামের আবদুস সালাম মারা গেছেন তিন বছর আগে। কিন্তু এখনো তার নামে ঝুলছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। আবদুস সালামের ছেলে শাহিনুল ইসলামের অভিযোগ, উেকাচ নিয়েও দুর্গাপুর থানার তৎকালীন মুন্সি সারোয়ার হোসেন তার বাবার মৃত্যুসনদ নথিভুক্ত করেননি। এ কারণে আদালত তার বাবার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। পুলিশ কনস্টেবল সারোয়ার হোসেন অনেক আগেই রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) বদলি হয়েছেন। এখন তিনি মহানগর আদালতে কর্মরত। গতকাল এই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আরএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শাহিনুল ইসলাম। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে আবদুস সালামের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। এরই মধ্যে ২০১৪ সালের ২ মার্চ আবদুস সালাম মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী আসামির মৃত্যুর পর তার মৃত্যুসনদ থানায় জমা দিতে হয়। ওই সময় শাহিনুল ইসলাম থানার মুন্সি সারোয়ার হোসেনের কাছে সনদ জমা দিয়ে আসেন।

শাহিনুল তার অভিযোগে বলেছেন, সনদ নেওয়ার সময় সারোয়ার তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকাও নেন। কিন্তু তিনি মৃত্যুসনদটি নথিভুক্ত করেননি। এ কারণে সম্প্রতি আদালত তার বাবার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে পুলিশ তার বাবাকে ধরতে বাড়িতে অভিযান চালায়। তখন তিনি জানতে পারেন, মৃত্যুসনদটি নথিভুক্ত করেননি মুন্সি সারোয়ার হোসেন। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর আদালতে গিয়ে তিনি কনস্টেবল সারোয়ারের কাছে তার বাবার মৃত্যুসনদ ফেরত চান। এ সময় শাহিনুল বিভিন্ন অজুহাতে আরও পাঁচ হাজার টাকা দেন। এরপর সনদ ফেরত না দিয়ে শাহিনুলকে জানানো হয়, ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ জন্য ওই দিন শাহিনুল আবার আদালতে যান। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

উল্টো তার বাবার নামে এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে তিনি কনস্টেবল সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দাখিল করেছেন।

আরএমপির কমিশনার মাহবুবর রহমান বলেন, অভিযোগটি তার কার্যালয়ে দাখিল হলেও তিনি এখনো সেটি দেখেননি। রবিবার অফিসে গিয়ে তিনি অভিযোগটি দেখবেন। এরপর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর