মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত ৪০

পাকুন্দিয়া

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণুুর সমর্থকরা মিছিল করেছেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে পৌর এলাকার মৌসুমী সিনেমা হলের দিক থেকে এবং মির্জাপুর থেকে লগি-বৈঠাসহ পৃথক দুটি মিছিল সদর ঈদগাহর দিকে আসতে থাকে। পুলিশ প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে। পুলিশ পরে রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের একই স্থানে সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। রবিবার রাত ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পৌর এলাকা, সদর ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকায় এ আদেশ বহাল থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। গতকাল বেলা ৩টায় পাকুন্দিয়া ঈদগাহ মাঠে এ সমাবেশের ঘোষণা দেয় দুই গ্রুপ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু ঈদগাহ মাঠে গতকাল বিকালে স্থানীয় ঈদগাহে সমাবেশ আহ্বান করেন। প্রায় এক মাস আগে সমাবেশ ডেকে তিনি ব্যাপক প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ আহ্বান করে। রবিবার সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন রবিবার রাত ১০টা থেকে পাকুন্দিয়া ঈদগাহসহ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু অভিযোগ করেছেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন নিজের লোকজনকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এ সভা আহ্বান করেছিলেন উল্লেখ করে বলেন, তার সভায় কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকের সমাগম হতো। এ অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, রফিকুল ইসলাম রেণু এককভাবে সভা ডেকেছেন। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ নেই। ১৪৪ ধারা জারির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

 

সর্বশেষ খবর