সম্প্রতি বৃষ্টিতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। পানির চাপ কমাতে খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট। একদিকে হ্রদের পানি অন্যদিকে পাহাড়ি ঢল দুইয়ে মিলে ডুবে গেছে জেলার দশটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার ঘরবাড়ি।
জানা যায়, বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি উপজেলা ও কালাপাকুজ্জা, গুলশাখালী, বগাচতর, গাথাছড়া, ভাসান্যাদম, মাইনিমুখ, বালুখালী, আদারক ছড়া ইউনিয়ন ও সদর এলাকার শান্তিনগর, কাঁঠালতলী, সমতাঘাট ও ফিশারি ঘাট, রিজার্ভ বাজার, পুরানবস্তি, পৌরকলনো এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসলি জমি। যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ছে শিক্ষার্থীরাও। হ্রদ তীরবর্তী গ্রামের রাস্তা গৌচারণ ভূমি, মাছ শুকানোর স্থানসহ বসতভিটা ডুবে যাওয়ায় অনেকে অন্যত্র আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ উঠেছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। রাঙামাটি শহর এলাকায় হ্রদের পানি উত্তোলন করে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে ঘোলা, ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে হ্রদের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি কোনো কোনো নলকূপ থেকেও বের হচ্ছে ঘোলা পানি। দূষিত পানির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীন জানান, হ্রদ তীরবর্তী এলাকাগুলো এখনো পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত হলে পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা করা হবে। রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে রাঙামাটিতে। নামছে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলও। তাই হ্রদের পানি কয়েকগুণ বেড়েছে’।