রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মৌলভীবাজারে সাত দিনে তিন হামলা, আতঙ্ক

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

দুই মাস ধরে মৌলভীবাজারে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। সাতদিনে পৌর শহরে ৩টি হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলাজুড়ে দুর্বৃত্তদের হামলা, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ও নির্যাতন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরে ঢুকে পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীসহ একই পরিবারের পাঁচজনের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় পৌর মেয়রের কার্যালয়সহ শহরের কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। গত ৮ নভেম্বর রাতে যুবলীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী মুহিবুর রহমান, ১৪ নভেম্বর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনীতে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনছার আলী ও ১৬ নভেম্বর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কামালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল আহমদসহ ৬/৭ জন হামলার শিকার হন। ১৭ নভেম্বর শহরের ৩টি দোকানের মালামাল চুরিসহ মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তালতলা নামক স্থানে নূর জাহান নামের এক মহিলার কাছ থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। ৮ নভেম্বর বড়লেখায় ফ্রান্স প্রবাসীর বৃদ্ধা মায়ের টাকা ছিনতাই হয়। ৯ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলায় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে জয়সিং গঞ্জু নামের এক যুবক  এবং ১১ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ ডাকাতকে আটক করে র‌্যাব। কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমনকে প্রধান আসামি করে আহত স্বাগত দাসের স্ত্রী জোনাকী দেব মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলে অদ্যাবধি কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। মুহিবুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় জহির হায়দার ওরফে আলীকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হলে ৪ নম্বর আসামি শাহিন আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা  ধরাছোঁয়ার বাইরে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনছার আলীর ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মবশ্বির আলীকে বুধবার রাতে আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে জেলার সচেতন নাগরিক অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন চৌধুরী, বিজনেস ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলাম কামরান ও বকশি ইকবাল আহমদসহ অনেকেই এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নত হওয়া প্রয়োজন। জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল বলেন, তিনটি ঘটনায়ই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর