বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছোট মাছের বড় বাজার

আল আমিন, সোনারগাঁ

ছোট মাছের বড় বাজার

একদিকে মেঘনার থৈ থৈ জলরাশির আওয়াজ, অন্যদিকে জেলেদের কোলাহল। এ নিয়েই কাকডাকা ভোরে ঘুম ভাঙে মেঘনার দুই পাড়ের বাসিন্দাদের। ফিশারি ঘাট হিসেবে পরিচিত মেঘনা নদীর দুই পারে গড়ে উঠেছে মিঠাপানির ছোট মাছের বাজার। যা ‘ছোট মাছের বড় বাজার’ হিসেবে পরিচিত। সোনারগাঁ ও গজারিয়ায় প্রতিদিন ভোররাত থেকে শুরু হয়, যা শেষ হয় সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে। মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজার ফিশারি ঘাট ঘুরে জানা যায়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে পাইকার-মহাজনেরা এসে ভিড় করেছেন। ঘাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নৌকায় করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা। এসব মাছের ডাক ওঠাচ্ছেন পাইকাররা। মাছ কিনে ট্রাকে বোঝাই করে পাইকাররা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনার তীর ঘেঁষে বৈদ্যবাজারে ভোররাতেই আনাগোনা শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এখানে পাওয়া যায় মেঘনা নদীর সুস্বাদু সব মাছ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— কই, শিং, টেংরা, পাবদা, মেনি, বাইলা, পোয়া, কাজলি, কাচকি, মলা, বজরি, বইছা, পুঁটি, টেকচাঁদা, দারকিনা। এসব ছোট মাছের পাশাপাশি রুই, কাতলা, বোয়াল, চিতলসহ বড় মাছও বিক্রি হয়। অপরদিকে, গজারিয়া উপজেলার তেতুতলা বাজারে ভোর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন প্রজাতির মিঠাপানির সুস্বাদু ছোট মাছ। এই মাছের স্বাদ যারা একবার নিয়েছেন, তারা ভুলতে পারেন না। এ জন্য অনেক ক্রেতা অগ্রিমও অর্ডার দেন। প্রতিদিন এখানে গড়ে ৫০ লাখ টাকার শুধু ছোট মাছ বিক্রি হয়। বৈদ্যের বাজার ঘাটের আড়ত্দার হারুন মালা বলেন, মেঘনার তরতাজা ছোট মাছের কদর অনেক বেশি। জেলা মত্স্য জরিপ কর্মকতা শাহ মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁ উপজেলা বৈদ্যেবাজারের মাছের খ্যাতি ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জেলেদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। মেঘনা নদীর মাছ আমাদের ঐতিহ্য ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর