শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সড়কের নামে কাটা হচ্ছে কৃষকের জমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সড়কের নামে কাটা হচ্ছে কৃষকের জমি

সড়কের নামে কৃষকের কানির পর কানি ধানি জমি কাটা হচ্ছে। কারোর চোখে ঘুম নেই। কারো চোখে জল। চোখের সামনেই নিজের কৃষি জমির মাটি বেকু মেশিন দিয়ে ফালা ফালা করা হচ্ছে। অসহায় মানুষগুলো যন্ত্রদানব বেকু মেশিনের দিকে তাকিয়ে থাকছে। বাধা দিলে প্রভাবশালী ঠিকাদাররা পুলিশ দিয়ে বাড়ি থেকে ধরে আনার ভয় দেখানো হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা থেকে জেলা শহর পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণে গ্রাস করা হচ্ছে শত কৃষকের কৃষি জমি। জমি অধিগ্রহণ বা কৃষকদের জমির কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সমানে জমির মাটি কেটে নিচ্ছে ঠিকাদাররা। ইতিমধ্যে অনেক জমি কেটে খাল করে ফেলা হয়েছে। অনেক কৃষক রয়েছেন যে জমিই শেষ সম্বল। তাদের অভিযোগ মৌজা ম্যাপ অনুসারে রাস্তা আরেক দিক দিয়ে। ঠিকাদার তার সুবিধার্থে তাদের জমির উপর দিয়েই রাস্তা বানিয়ে নিচ্ছে। আবার জমিও কাটছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা। এরপর আদালতে মামলাও করেছেন তারা। মামলায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালককে আসামি করা হয়। আদালত তাদের ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। কিন্তু জমি রক্ষা করতে পারছেন না কৃষকরা। আদালতে মামলা হওয়ার পরও প্রভাবশালী ঠিকাদাররা সমানে কৃষি জমির মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সীমনা-বি’বাড়িয়া নামের প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির কাগজপত্রে কাজ শুরু হয়েছে ১৩ মাস আগে। স্থানীয় একাধিক ঠিকাদার মূলত এই কাজ করছেন। ৩৯ কোটি টাকার এই কাজের মধ্যে মাটির কাজের জন্যে বরাদ্দ ৬ কোটি টাকা। ঠিকাদারেরই মাটির সংস্থান করার কথা। চুক্তিতে কোথাও বলা নেই পাশের জমি থেকে মাটি কেটে নিতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঠিকাদার মাটির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কোথা থেকে ব্যবস্থা করবে তা আমার জানা নেই। এটা ঠিকাদারদের কাজ।

সর্বশেষ খবর