মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

দিনে লেনদেন দেড় কোটি টাকার

জয়পুরহাট সীমান্তে বেড়েছে মাদক চোরাচালান

মাজেদ রহমান, জয়পুরহাট

দিনে লেনদেন দেড় কোটি টাকার

নিয়মিত মাসোহারা ও ‘খাড়া ডিউটির’ মাধ্যমে জয়পুরহাট সীমান্তে চলছে রমরমা মাদকবাণিজ্য। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন সীমান্তে দেনদেন হয় দেড় কোটি টাকারও বেশি মাদকদ্রব্য। মাদকসেবী, মাদকব্যবসায়ী ও স্থানীয় সাংবাদিক সূত্রমতে, ভারত সীমান্ত হয়ে দিনে শুধু ফেনসিডিলই আসছে অর্ধকোটি টাকার। এছাড়া হাটখোলা, চেঁচড়া, কড়িয়া পাগলাদেওয়ান পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকছে ইয়াবাসহ নেশাজাতীয় বড়ি।

অভিযোগ আছে, সীমান্তরক্ষীবাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য দাঁড়িয়ে থেকে খাড়া ডিউটির নামে টাকার বিনিময়ে মাদক পাচারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফেনসিডিল পাচারে জয়পুরহাটকে ট্রানজিট পয়েন্ট করে বিভিন্ন পরিবহনে বগুড়া ও ট্রেনে সান্তাহার হয়ে তা পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশে। পাঁচবিবি উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির তালিকামতে সীমান্তবর্তী বাগজানা ইউনিয়নেই মাদক পাচারকারী-বিক্রয়কারী সংখ্যা প্রায় ৪০০। এছাড়া এ উপজেলায় মাদক চোরাকারবারি গডফাদার রয়েছেন ১০-১২ জন। এরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজসহ মাদক কেনাবেচার অর্থ সরবরাহ করে থাকেন। জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে মাদকের মিনি গুদাম। তাছাড়া সদরের কুডিবাড়ী ব্রিজ, রাঘবপুর, শিমুলতলীসহ ৮-১০ স্পটে চলে রমরমা মাদক বিক্রি। এ সব স্পট থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক যায় জেলার বিভিন্ন স্থানে। মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায় আইনশৃঙ্খলা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের মধ্যে আছে, টাকা না পেলে অভিযানে যাওয়া, জব্দ মাদকদ্রব্য ঠিকমত জমা না দিয়ে তা বিক্রি করা, টাকা নিয়ে মাদকসহ আসামি ছেড়ে দেওয়া।

জয়পুরহাটের এসপি রশিদুল হাসান জানান, জেলা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া প্রতি মাসে তারা বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, সব পুলিশ সদস্যকে ঘটনাস্থলে সিজার লিস্ট করার আদেশ দিয়েছেন। যারা এর ব্যত্যয় ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। ২০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ আনিসুল হক জানান, সীমান্তে মাদক চোরাচালান প্রতিহতে তারা জিরো টলারেন্স। গত এক বছরে এই সীমান্ত থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর