দিনাজপুর চিরিরবন্দরে সম্প্রতি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে গরু চুরি। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গরুমালিকরা। খামারীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার রাতে চিরিরবন্দর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের পানুয়াপাড়ায় বিমল চন্দ্রের বাড়ি থেকে দুইটি ষাঁঁড় ও চারটি গাভি চুরি যায়। ওই গরু-ষাঁড় নিয়ে পালানোর সময় পার্বতীপুর উপজেলার যশাই হাটের পাহারাদারা আটক করে পরদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যর উপস্থিতিতে মালিককে বুঝিয়ে দেন। একই রাতে সাতনালা ইউপির তালতলা গ্রামের বিধবা তহমিনা বেগমের দুইটি ষাঁড় ও একটি গাভি নিয়ে যায় চোরেরা। এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাতে অমরপুর ইউপির কারেঙ্গাতলি বাজারের জাহিনুর আলমের দুইটি বিদেশি ষাঁড় এবং সন্তোষপাড়া গ্রামের বাবু চন্দ্রের বাড়ি থেকে চারটি গরু চুরি হয়। ২৩ ডিসেম্বর রাতে ফতেজংপুর ইউপির উত্তর পলাশবাড়ির শাহ্পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর বাড়ি থেকে চোরেরা তিনটি গরু চুরি যায়। এ ব্যাপারে ওই মুক্তিযোদ্ধা থানায় অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ২৪ ডিসেম্বর মণ্ডলপাড়ার এমদাদুলের একটি ও গত ২৮ নভেম্বর পুনট্টি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের রহমত আলীর বাড়ি থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। কারেঙ্গাতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘চোরের উপদ্রবে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনা’। কয়েকজন খামারমালিক জানান, গরু চুরি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে আছি। চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেসুল ইসলাম বলেন, ধানক্ষেত ফাঁকা ও ঘনকুয়াশা থাকায় এবং গরু মালিকরা সচেতন না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। গরু চোরদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাতে টহল বাড়ানো হয়েছে।