শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সেই ছাত্রলীগ নেতা এবার পেটালেন শিক্ষার্থীকে

ফরিদপুর প্রতিনিধি

তপন কুমার নামের এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিলেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক প্রামাণিক। গত ১২ আগস্টের সেই ঘটনার পর বেশ আলোড়ন হয় জেলাজুড়ে। সেই ঘটনার পর ফারুক বহিষ্কার হন ছাত্রলীগ থেকে। এ ঘটনায় মামলা হলে গ্রেফতার হন ফারুক। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তি পেয়ে এবার মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে নগ্ন করে পিটিয়ে আহত করেন। ভিডিও করেন পেটানোর দৃশ্য। গত ২৪ ডিসেম্বর পাংশা সরকারি কলেজের পাশের একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাংশা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার শিকার সেই শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি পাংশা সরকারি কলেজের মানবিক শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের বিকয়া গ্রামে। তিনি কলেজের পাশে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাবার বিরোধ থাকায় তিনি মেস ছেড়ে চলে যান। দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় সব বিষয়ে অংশ নিতে পারেননি। ২৪ ডিসেম্বর তিনি এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য কলেজে যান। পরে কলেজের পাশে সৈকত নামের মেসে যান। এ সময় ছাত্রলীগের তিন নেতা ফারুক, সাহেদ ও আজিম তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার জামা-কাপড় খুলে ফেলা হয়। পুরো নগ্ন করে মুঠোফোনে তা ভিডিও করা হয়। মারধর ও নগ্ন করে ভিডিও করার সময় ছাত্রলীগের তিন নেতা বলেন, কালুখালী উপজেলাবাসী নামের ফেসবুক আইডি সে চালায় কিনা। এ বিষয়টি অস্বীকার করলে বেদম পেটানো হয়। ছাত্রলীগের তিন নেতা হুমকি দিয়ে বলেন, তাদের কথা না শুনলে নগ্ন দৃশ্য ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। কোনো রকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন মোস্তাফিজ। পরদিন পাংশা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিক্তিতে পাংশা থানা পুলিশ মেস থেকে মোস্তাফিজের জামা-কাপড়, মানিব্যাগ উদ্ধার করে। পাংশা থানার এসআই আরিফুজ্জামান জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মোস্তাফিজকে।

সর্বশেষ খবর