রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বগুড়ায় ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসৎসাহিত করতে পুনর্বাসন কাজ শুরু

সাত হাজার ভিক্ষুকের সন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়া জেলা-উপজেলা ভিক্ষকমুক্ত এবং ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসৎসাহিত করতে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন বলছে, বগুড়ায় সাত হাজার ২৯১ জন ভিক্ষুকের সন্ধান পেয়েছে তারা। তাদের নিয়েই প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এর বাইরে কিছু ভিক্ষুক রয়েছেন যাদের স্থায়ী ঠিকানা নেই। তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করে থাকেন। তাদের তালিকা পর্যায়ক্রমে তৈরি হবে। জানা যায়, বগুড়া জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে দিন দিন বাড়ছে ভিক্ষাবৃত্তি। বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে একশ্রেণির গরিব ও দুস্থ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি করে থাকে। একই স্থানে একাধিকজন ভিক্ষুক থাকায় অনেককেই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না। সে কারণে ভিক্ষাবৃত্তি ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সব আমলে নিয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে ভিক্ষুকমুক্ত এবং ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসৎসাহিত করতে কাজ শুরু করে। জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, বগুড়ার বিত্তশালীরা এগিয়ে এসেছেন। তাদের অর্থে ভিক্ষুকদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ভিক্ষুকমুক্ত বগুড়া গড়তে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ভিক্ষুকের তালিকা তৈরি করেছেন। জেলা প্রশাসক আরও জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি, মোটরমালিক গ্রুপ, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নসহ সমাজের বিত্তশালীরা এই কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা করছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় বেশকিছু ভিক্ষুক পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুরুষ সক্ষম ভিক্ষুকদের রিকশা, মনোহারি দোকান করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মহিলা ও পুরুষ ভিক্ষুকদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু-ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি, সেলাই মেশিন প্রদান করা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে। এছাড়া যারা বয়সের কারণে কোন কাজ করতে পারবেন না তাদের বয়স্কভাতা দেওয়া হবে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর