বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙা সড়কে বাড়ছে দুর্ভোগ

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

গেল বছর দুই দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের অধিকাংশ সড়কে সৃষ্টি হয় খানাখন্দ। দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকা হাকালুকি, কাউয়া দীঘি, হাইল হাওরসহ নদীপারের সড়কগুলোর অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে ছোটবড় গর্ত। কোথাও কোথাও ধসে গেছে রাস্তার দুই পাশের মাটি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামত না হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে দুর্ভোগ। সড়ক বিভাগের লোকজন বিভিন্ন গর্তে ইট-বালু ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসছে না।

এলজিইডি মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জেলায় তাদের প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ২০ কোটি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই টাকার কাজ আশা করি জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে সব সড়ক সংস্কার করা সম্ভব নয়’। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন,  ‘গর্তে বালু ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্কারের জন্য বার্ষিক যে বরাদ্দ মিলে তা দিয়ে হবে না। এর জন্য বিশেষ বরাদ্দ লাগবে। আমরা উপরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাঠিয়েছি’।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজলোর অধিকাংশ সড়কের পিচ ও খোয়া উঠে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও সড়কের নিচ থেকে মাটি বের হয়েছে। চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। সওজ মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টিতে তাদের ৮১ কিলোমিটার সড়ক এবং বন্যায় ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সওজের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো হল— জুড়ী-লাঠিটিলা, মৌলভীবাজার-শমসের নগর, কুলাউড়া-কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া-পৃথিমপাশা। এলজিডির ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে রয়েছে বড়লেখায় ৬৬, জুড়ীতে ৩২, কুলাউড়ায় ৪০, রাজনগরে ৫৬, সদর উপজেলায় ৩৫, কমলগঞ্জে ৪ ও শ্রীমঙ্গলে ২৯ কিলোমিটার।

স্থানীয় বাসচালক মিত্র দেব বলেন, ‘রাস্তায় গাত (গর্ত) আর গাত। সাবধানে গাড়ি চালাইতে হয়। ৪০ মিনিটের পথ যাইতে এক ঘণ্টা লাগে।’ অটোরিকশার চালক শামীম বলেন, ‘গাতো (গর্তে) পড়িয়া গাড়ির কলকবজা নষ্ট অয়। কয় দিন পর পর কাম করানি লাগে। যা রুজি তার অর্ধেকই কামে খরচ। তবুও পেটের তাগিদে গাড়ি চালাই।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর