মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডাক্তারশূন্য জরুরি বিভাগ

শেরপুর প্রতিনিধি

স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী দেশের সব জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার দায়িত্বে থাকবেন। কিন্তু ব্যবস্থাপনার কারণে মাঝে মাঝে দু-দশ মিনিট জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ডাক্তার থাকে না। গতকাল বেলা ২টা থেকে বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে কোনো ডাক্তার দায়িত্বে ছিলেন না। ফলে এ সময় জরুরি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হয়। ভর্তি রোগীরাও জরুরি প্রয়োজনে ডাক্তার পাননি। এ সময় ভুক্তভোগীরা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, হাসপাতালের রোস্টার অনুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জরুরি ওয়ার্ডে একজন ডাক্তার দায়িত্বে ছিলেন। বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল ডাক্তার রাজীব সাহার। কিন্তু ওই সময়ে তিনি না আসায় জরুরি ওয়ার্ডে পৌনে দুই ঘণ্টা ডাক্তারশূন্য হয়ে পড়ে। বিষয়টি সিভিল সার্জনের কানে গেলে সিভিল সার্জন জরুরিভাবে ডাক্তার খাইরুল কবিরকে আসতে বলেন। বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের সময় জরুরি ডাক্তার কবির ওয়ার্ডের দায়িত্বে নেন। জেলা সদর হাসপাতালে আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার কেয়া জানায়, গত ১৫ এপ্রিল জেলা সদর হাসপাতালে অন্য উপজেলা থেকে ২ জন চিকিৎসককে প্রেষণে আনার চিঠি দেন সিভিল সার্জন। তাদের মধ্যে একজন যোগদান করলেও ডা. রাজীব সাহা যোগদান করেন নি। আজ ওই ডাক্তার রাজীবের দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। ডাক্তার রাজীব সাহা জানান, আমি মূলত ঝিনাইগাতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে আছি। আমাকে শেরপুরে প্রেষণে আনার চিঠি দেওয়া হলেও ওইখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে ছাড়পত্র দেননি। ঝিনাইগাতি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু হাসান শাহিন বলেন, আগামীকাল তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর