রবিবার, ৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

জীবনযুদ্ধে জুড়ান মাঝি

নাটোর প্রতিনিধি

জীবনযুদ্ধে জুড়ান মাঝি

জুড়ান মাঝি ও তার সহধর্মিণী কদভানু —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শতবর্ষী জুড়ান মাঝি। সিংড়া উপজেলার গুড়নই নদীর শৈলমারী ঘাটে নৌকায় যাত্রী পারাপার করেছেন ৫০ বছর। দীর্ঘ এই সময়ে ঝড়, বৃষ্টি, রোদ কোন কিছুই তার কাজে বাধা হতে পারেনি। উত্তাল আত্রাই-গুড়নই নদী আর চলনবিলের বিপুল জলরাশিতে যে মানুষটি আজীবন শক্ত হাতে নৌকার হাল ধরেছেন, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তার চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বার্ধক্য। রোগব্যাধিতে ন্যুব্জ জুড়ান মাঝি এবং তার স্ত্রী কদভানুর এখন জীবন কাটছে দুঃখ-কষ্টে। এ দম্পতি ১৪ সন্তান জন্ম দিলেও বেঁচে আছে শুধু দুই ছেলে। তারাও অনেক আগে বাবা-মাকে ছেড়ে চলে গেছে। বিয়ে করে বসবাস করছে অন্যত্র। এখন জুড়ান মাঝির একমাত্র অবলম্বন স্ত্রী কদভানু। সিংড়া পৌর শহরে রাস্তার ধারে ছোট্ট কুঁড়ে ঘরই তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। জুড়ান মাঝি আক্ষেপ করে বলেন, ‘যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে। এলাকার মানুষ টুকটাক সাহায্য করে। কখনো খেয়ে, কখনো না খেয়ে থাকি। জুড়ান মাঝির কষ্টের কথা শুনে সিংড়া পৌর মেয়র তাকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, সিংড়া পৌর শহরের শৈলমারী ঘাটে জুড়ান মাঝি ৫০ বছর মানুষ-যানবাহন পারাপার করেছেন। এখন সে ঘাটে তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। চারদিকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও জুড়ান মাঝির ভাগ্যের উন্নতি হয়নি। একমাত্র বয়স্ক ভাতার কার্ডই তার সম্বল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। আগেও তাকে সহায়তা করা হয়েছে। আবারো করা হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর