কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সীমান্তের ১০টি গ্রামে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে অতীষ্ঠ এলাকার কৃষকরা। খেতের ফসল নষ্ট করাসহ বাড়িতে হামলার ভয়ে আতঙ্কিত মানুষ রাত জেগে আগুন জ্বালিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সময় কাটাচ্ছে। ১৯ মে সন্ধ্যা থেকে গতকাল ভোররাত পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার পাকা-আধপাকা বোরো খেতে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। এতে দুই উপজেলার প্রায় ১২ একর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান, রাজিবপুরের বালিয়ামারী ভারতের কালাইয়ের চর ও বালিয়ামারী বর্ডার হাটের পাশ দিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৩০-৩৫টি বন্যহাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হাতির দলটি রৌমারীর বকবান্ধা, খেওয়ার চর, আলগার চর, লাঠিয়াল ডাঙ্গা, পাহাড়তলী, রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বাজার পাড়া, আদর্শগ্রাম, ব্যাপারি পাড়া, জালচিড়া পাড়া, মিয়াপাড়া এলাকা জুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। গ্রামবাসী সন্ধ্যা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে থেকে আগুন ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালান। ভোররাতে হাতির দলটি যে পথ দিয়ে এসেছিল সে পথ দিয়েই ফিরে যায়। ব্যাপারী পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফরিজল হক জানান, ভারতের ৩০-৩৫টি বন্যহাতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে সীমান্তবাসী জড়ো হয়ে চিৎকার, পটকা ও আগুন জালিয়ে তাদের উঠতি ইরি-বোরো ধান রক্ষার চেষ্টা চালালেও শেষরক্ষা হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ গত বছরও ভারতীয় হাতি বাংলাদেশের সীমান্ত গ্রামগুলোতে ঢুকে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করেছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।