শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতায় অচল কুমিল্লা বিসিক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

জলাবদ্ধতায় অচল কুমিল্লা বিসিক

কুমিল্লা বিসিকের একটি সড়ক —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বর্ষা-গ্রীষ্মসহ ১২ মাসই জলাবদ্ধ থাকে কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরী। বিসিকে জলাবদ্ধতা, সড়ক ও ড্রেনের বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের। এখানের সড়কের পানিতে কচুরিপানার জন্ম হয়েছে। হাঁস পুকুর-খাল ভেবে মনের আনন্দে সাঁতার কাটে! কার্যালয়ের নিচতলায় পানি জমে আছে।

সূত্রমতে, কুমিল্লা মহানগরের অশোকতলা এলাকায় ১৯৬০-৬১ অর্থবছরে ৫৪ দশমিক ৩৫ একর ভূমির উপর স্থাপিত হয় কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরী। এই শিল্পনগরীতে প্লট সংখ্যা ১৫৫টি। বর্তমানে এখানে চালু রয়েছে ১৩৫টি কারখানা। এসব চালু থাকা কারখানায় প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নগরীর রানীর বাজার, ঠাকুরপাড়া, অশোকতলা এলাকা উঁচু হওয়ায় বৃষ্টি হলে চারপাশের পানি বিসিক এলাকায় এসে জমা হয়। বিসিকের উত্তর অংশের কয়েকটি সড়ক দীর্ঘদিন পর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সংস্কার করেছে। দক্ষিণ অংশের সড়কগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। কোনো সড়কে হাঁটু পানি জমে আছে। কোথাও ড্রেন থেকে সড়ক নিচু হওয়ায় ময়লা পানি সড়কের উপরে এসে জমা হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি হলে ফ্যাক্টরিতে পানি ঢুকে। এ ছাড়া বিসিক থেকে পানি সরানোর ড্রেনগুলোর মুখে প্রতিবন্ধকতা থাকায় পানি সরতে দেরি হচ্ছে। কিছু সড়কে পানি জমতে জমতে কচুরিপানার জন্ম হয়েছে। প্রথম দেখায় সড়ক না খাল তা বুঝার উপায় নেই।

এ ছাড়া বিসিক কুমিল্লার কার্যালয়ের নিচতলায় পানি জমে আছে। সেখানে নিচতলা বন্ধ রেখে ব্লক ফেলে দোতলায় গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন।

বিসিকের সূত্র জানায়, রাস্তা আছে ১৩ হাজার আরএফটি, কাজ হয়েছে চার হাজার ৫০০ আরএফটির। ড্রেন ২১ হাজার ৫২০ আরএফটি। কাজ হয়েছে সাত হাজার আরএফটির। ২০১৫ সালের ১৮ মে চার কোটি ১২ লাখ টাকার ব্যয় বরাদ্দ ধরে সড়ক, ড্রেন সংস্কার ও অফিস ভবন নির্মাণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, এখানে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমরা বিসিক এবং সিটি করপোরেশন দুই কর্তৃপক্ষকে ট্যাক্স দিয়ে থাকি। কিন্তু এখানের সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।

বিসিক শিল্পনগরী কুমিল্লার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বেশি বৃষ্টি হলে আমার অফিসেও পানি ঢুকে যায়।

সিটি করপোরেশন কিছু সড়ক ও ড্রেনের কাজ করে দিয়েছে। বিসিকের সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অফিস বিল্ডিং নির্মাণ। বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের পর এটি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর