সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

নানা অপূর্ণতা নিয়ে ১৩ বছরে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) দিবস আজ। অনেক অপূর্ণতা নিয়েই এক যুগ পার করে ১৩ বছরে পদার্পণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। কুমিল্লা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কোটবাড়ী শালবন বিহার এবং ময়নামতি জাদুঘর সংলগ্ন বিখ্যাত লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে ২০০৬ সালের ২৮ মে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের ২৬তম এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এর ঠিক এক বছর পরেই সাতটি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। এ বছর ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ও রমজানের মধ্যে হওয়ায় দিবসটি উদযাপনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ এ বিদ্যাপীঠে বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিভাগের ৬টি ব্যাচ বেরিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরে এসেও নানা সমস্যা আর অপূর্ণতার বেড়াজালে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। পর্যাপ্ত ভূমি না থাকা, সুপরিকল্পিত অবকাঠামোর অভাব, আবাসিক ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা, অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাসেবার দুর্বলতা, অপ্রতুল গ্রন্থাগার, সেশন জট, শিক্ষক-ক্লাসরুম সংকট, গবেষণায় অনাগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সড়কের অভাব, অপর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তিতে অনাগ্রসরতা, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠাসহ নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বরাবরই ব্যাহত হচ্ছে। ১২ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ছয়জন। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী  নিয়োগ পান চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে  রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অনেক কিছুরই সংকট আছে,  চেষ্টা করছি এ সব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার। আমাদের বেশ বড় একটি উন্নয়ন প্রকল্প সরকারের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রস্তাব করার কাজ চলছে। এখানে সব অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই আমরা দৃশ্যমান কিছু দেখতে পাব।’

সর্বশেষ খবর