মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে রায়গঞ্জ-তাড়াশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

চলনবিল অধ্যুষিত রায়গঞ্জ-তাড়াশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগায় রায়গঞ্জ-তাড়াশের গ্রামীণ জনপদ পাল্টে যেতে শুরু করেছে। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গ্রাম-বাজার সংযোগ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা, দেড় শতাধিক ছোট-বড় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে কৃষকরা সহজেই তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পারছে। তিনটি থানার মধ্যে তাড়াশে শতভাগ ও রায়গঞ্জ ৯৫ ভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অর্ধশত নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণসহ প্রতিটি বিদ্যালয়ে সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও চলনবিলের প্রায় ৮ শতাধিক পুকুর সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে ৬ বছরের জন্য মত্স্যজীবীদের মধ্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের ১৫ হাজার মত্স্য পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও আধুনিক তাড়াশ থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন, বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র , আদিবাসীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কলেজ ভবন, মসজিদ-মাদ্রাসা- মন্দির সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়েছে। তাড়াশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোলার প্যানেল দেওয়ায় রাতেও শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে সোলার প্যানেলের বিদ্যুতে কম্পিউটার শিক্ষা চালু করা হচ্ছে। রায়গঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল সরকার জানান, পৌরসভায় শতভাগ বিদ্যুৎ-রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান জানান, রায়গঞ্জে পৌরসভা হলেও কোন ভবন ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে বহুতল বিশিষ্ট পৌরভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও  পৌরসভার সকল রাস্তা-ড্রেনেজ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ চলছে। ২০১৪ সালে উপ-নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রায়গঞ্জ-তাড়াশের এমপি নির্বাচিত হন। এরপর দুই উপজেলায় প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর