বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

২৪ খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

২৪ খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত

নড়িয়ায় দখল হয়ে যাওয়া একটি খাল। সেতুটি না থাকলে বোঝার উপায় ছিল না এখানে এক সময়ে খাল ছিল —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ২৪টি খালের অধিকাংশ এলাকাই দখল হয়ে গেছে। ফলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে খালগুলোর পানির প্রবাহ। অনেক স্থানে খাল ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা স্থাপনা।

খালে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সেচের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জমিতে পলি মাটি না যেতে পারায় ঊর্বরতা হারাচ্ছে ফসলি জমি। এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত ও নৌচলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাছাড়া খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীর পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় নড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন।

নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর নড়িয়া অংশ থেকে ১০টি এবং কীর্তিনাশা ও সুরেশ্বর থেকে ১৪টি খালের উৎপত্তি। প্রতিটি খালের সঙ্গে অন্যটির সংযোগ রয়েছে। এছারা সবগুলো খালের সঙ্গে আছে পদ্মা নদীর প্রবাহের সংযোগ। এ সব খালেন বিভিন্ন স্থান দখল করে স্থানীয়রা কেউ বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের, সড়ক নির্মাণ করেছেন। নড়িয়া পৌরসভা খাল ভরাট করে স্থাপন করা হয়েছে পানির পাম্প।

ভূমখারা গ্রামের কৃষক জসীম উদ্দিন জানান, উপজেলার অধিকাংশ খালের সঙ্গে এখন আর কোনো নদীর সংযোগ নেই। যার কারনে পানির প্রবাহও নেই আগের মতো। পানির সঙ্গে পলি এসে জমির ঊর্বর শক্তি বৃদ্ধি করত। পলি না থাকায় এখন জমির ঊর্বর শক্তি কমে গেছে। তাই ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা ফসলের পরিবর্তে মাছের খামার করছি। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘খালগুলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাকৃতিক নিয়মেই পানির প্রবাহ হতো। মানুষ তার প্রয়োজনে নানাভাবে খাল ভরাট করে প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। খাল ভারাটের কারণে নদীর পানি ও স্রোত কোথাও সরতে পারছে না। তাই ভাঙন তিব্র হচ্ছে। সর্বশেষ নকশা অনুযায়ী খালের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই তালিকা ধরে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও খাল উদ্ধার করা হবে। এ ছাড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন আটটি খাল পুনঃখননের প্রস্তাব জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর