শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙনের ঝুঁকিতে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি রক্ষাবাঁধ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বাড়িঘর, ফসলি জমি বিলীন হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে সদ্য নির্মাণ করা শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি রক্ষাবাঁধ। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এলাকাবাসী বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে জানা যায়, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। এতে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কর্মকর্তা জানান, ‘পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে সদ্য নির্মিত রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধের দুই মুখই ঝুঁকিতে আছে। কেননা তীব্র স্রোতে বাঁধের মুখের ভেতর দিয়ে মাটি ভেঙে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের দিকে কুঠিবাড়ি সংলগ্ন পদ্মী নদী ভেঙে কুঠিবাড়ির দিকে আসতে শুরু করে। তখন থেকে পাউবো কুঠিবাড়িসহ কয়া ও শিলাইদহ ইউনিয়নের গ্রাম রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করে। চলতি বছর ১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসী জানান, কুঠিবাড়ি রক্ষা প্রকল্পের যে বাঁধ রয়েছে তার একটি অংশের সামনের দিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে ব্লক বসানোর জন্য যে মাটি তোলা হয়েছে, তার বেশির ভাগ বিলীন হয়ে গেছে। পানি বাড়লে এ অংশের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। স্থানীয় আবদুল বারী জানান, ঢেউয়ে নদী পাড়ের মাটি সরে যাচ্ছে। সবাই আতঙ্কে আছে। বাঁধ নির্মাণ পুরোপুরি সম্পন্ন না করায় এ অংশ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাউবোর এক কর্মকর্তা মনে করেন, বাঁধ নির্মাণের যে ২২ কোটি টাকা ফেরত গেছে তার সঙ্গে আরও কিছু টাকা দিয়ে কোমরকান্দী এলাকায় বাধ নির্মাণ করা গেলে এ বিপদ এড়ানো সম্ভব হতো। কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খান বলেন, ‘এই মূহুর্তে কোন প্রকল্প নেই। যে অংশ বাঁধ নেই সেখানে ভাঙছে। আরও দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা গেলে আপাতত গ্রামসহ কুঠিবাড়ি রক্ষাবাঁধ ঝঁকিমুক্ত থাকতো।

 

সর্বশেষ খবর