মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন?

সংসদীয় আসন রাজশাহী-৩

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

পবা ও মোহনপুর উপজেলার তিনটি পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৩ আসন। রাজনৈতিক বিবেচনায় এটি সব রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রার্থী হতে চান। তবে বাগড়া দিতে পারেন দলটির সিনিয়র দুই নেতা। নতুন করে এ আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এবার নাম যুক্ত হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর। ফলে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে মিলনের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন কবীর হোসেন ও মিজানুর রহমান মিনু। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, জেলে যাওয়ার আগে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রবীণ নেতারা কে কোন আসনে নির্বাচন করবে তা জানতে চান। এতে কবীর হোসেনের প্রথম পছন্দ ছিল রাজশাহী-২ (সদর) আসন। আর দ্বিতীয় পছন্দ রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর)। একইভাবে মিজানুর রহমান মিনুর পছন্দের তালিকায় ছিল রাজশাহী-২ ও রাজশাহী-৩ আসন। এ ছাড়া এই দুই আসনের বাইরে যাওয়ার প্রবীণ দুই নেতার সুযোগও খুবই কম। ফলে তারা দুজন যদি এবার মনোনয়ন পান তবে স্বপ্ন ভঙ্গ হতে পারে মিলনের। কবীর হোসেনকে রাজশাহী-৩ আসনে প্রার্থী করা হলে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে প্রার্থী করা হতে পারে মিজানুর রহমান মিনুকে। কারণ ওই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু সাঈদ চাঁদ মিনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। মিনুকে মনোনয়ন দিলেও চাঁদ বেঁকে বসবেন না। মিলনের সমর্থকরা জানান, ২০১৩ সালের রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পাশাপাশি শফিকুল হক মিলনও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। তখন দলের হাইকমান্ড তাকে সিটি থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাস দেয়। মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘যখন নির্বাচনের সময় হবে, তখন সবাই জানবে কে কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’ কবীর হোসেন জানান তিনি। দলের হাইকমান্ড যে আসনে বলবে, তিনি সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সর্বশেষ খবর