বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বরাদ্দের পুরোটাই আত্মসাৎ!

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে খাল খননের জন্য বরাদ্দের পুরোটাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। খনন তো হয়ইনি, উল্টো প্রকল্প সভাপতি খালের ভেতরের আগাছা পরিষ্কার ও কয়েকটি মাটির বাঁধ অপসারণের জন্য গ্রামবাসীর কাছ থেকে ২০০-৩০০ টাকা করে টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার ভবানীপুর বিলের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভবানীপুর বিল থেকে ওয়ালিয়া বড় নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পে ৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প সভাপতি ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেন খালের কোথাও খনন কাজ করেননি। কাগজ-কলমে কাজ হয়েছে দেখিয়ে বরাদ্দের প্রায় তিন লাখ টাকার পুরোটাই তুলে সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। প্রকল্প সভাপতি শুধু একদিন ১৭ জন শ্রমিক নিয়ে খালের ভেতরে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও তিন জায়গায় মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ করেছেন। এ জন্য জলাবদ্ধতার শিকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। ভবানীপুর গ্রামের রাখি ও তহমিনা জানান, তারা খালে কোনো মাটি কাটতে দেখেননি। ৬-৭ দিন আগে একদিন কয়েকজন শ্রমিক এসে কিছু আগাছা পরিষ্কার করেছে মাত্র। একই গ্রামের কৃষক ভাদু প্রামাণিক জানান, খাল খনন না হওয়ায় বিলের জলাবদ্ধতা দূর হবে না। প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য কামাল হোসেন নিয়মানুযায়ী কাজ হয়েছে বলে দাবি করলেও খালের কোন অংশে মাটি কাটা হয়েছে এবং কতজন শ্রমিক কাজ করেছে তা জানাতে পারেননি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়েও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ বসাক জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।

সর্বশেষ খবর