রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

সড়ক পদ্মার পেটে বন্ধ যান চলাচল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

সড়ক পদ্মার পেটে বন্ধ যান চলাচল

শরীয়তপুরে পদ্মায় বিলীন হচ্ছে সড়ক, ফরিদপুরে হারিয়ে যাচ্ছে জনপদ

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে নদীভাঙন। নড়িয়া-সুরেশ্বর ও নড়িয়া-ঢাকা সড়কের আট কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কে যান চলাচল।

নড়িয়া পৌর এলাকার বাঁশতলা থেকে মুলফত্গঞ্জ বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকার বেশির ভাগ পদ্ধায় বিলীন হওয়ায় এক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ৫৪ নং পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে এ অঞ্চলে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে ভাঙনে নদী ৫০০-৬০০ মিটার দড়্গিণে প্রবেশ করেছে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াছমিন বলেন, সড়কটির কিছু স্থান ভেঙে পড়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। ওই এলাকার মানুষ চার কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ওই প্রকল্পের কাজ শুরম্ন করা যাবে। এই মুহূর্তে ভাঙন রোধ করার মতো অবস্থা পাউবোর নেই।

ফরিদপুরে অর্ধশতাধিক বসতভিটা বিলীন : ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে নদীতে হারিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, স্কুল, মাদ্রাসা, পাকা-কাঁচা সড়কসহ কয়েকশ একর ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদসহ বহু স্থাপনা। চরভদ্রাসন উপজেলাবাসীর আতঙ্কে দিন কাটছে। জানা যায়, উপজেলার ভাঙন এলাকায় কয়েক ধাপে বালুর বসত্মা দিয়ে ডাম্পিং করলেও গত দুই মাসে নদীর তীব্র স্রোতে ফাজেলখার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমপিডাঙ্গী স্কুল সংলগ্ন ৬০ মিটার পাকা সড়ক, বালিয়াডাঙ্গীর একটি মসজিদ, কয়েক হাজার গাছপালা, ফসলি জমি ও অর্ধশতাধিক বসতভিটা নদীর পেটে চলে গেছে। চরভদ্রাসন সদর বাজার সংলগ্ন সরকারি কলেজসহ কয়েক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পদ্মার দূরত্ব এখন মাত্র ৯৫০ মিটার।

সর্বশেষ খবর