বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিস্তার ভাঙনে বিলীন বিদ্যালয় মসজিদ আশ্রয়ণ প্রকল্প

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার দফায় দফায় ভাঙনে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে রুদ্রেশ্ব ও শংকরদহ গ্রাম। একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, আশ্রয়ণ প্রকল্পও গেছে তিস্তার গর্ভে। প্রতিদিনই ভাঙছে চর রুদ্রেশ্বর ও চর শংকরদহ। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম গ্রাম ২টি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুনভাবে নির্মিত রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহ আদর্শ গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্যায় ধসে গেছে। চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে তিস্তার ভাঙন। এরই মধ্যে ওই  গ্রাম দুটির একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। প্রবল সে াতের কারণে লোকজন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহ আশ্রয়ণ কেন্দ  ২টিসহ পুকুর ও মসজিদের চিহ্নও আর নেই। সব মিলিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে চর রুদ্রেশ্বর ও  শংকরদহ গ্রাম। কয়েকদিন স্থায়ী বন্যায় রাস্তাঘাটও ভেঙে গেছে। গতকাল রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহে গিয়ে দেখা যায়, সর্বস্বান্ত  গ্রামবাসী শেষ সম্বলটুকু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন নদীর কিনারায়। নৌকা এলেই তারা চলে যাবেন রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহের মায়া ত্যাগ করে অন্য কোনো এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহ আশ্রয়ণ কেন্দে  থাকত ৫০টি পরিবার। আশ্রয়ণ কেন্দ্র ২টি ভেঙে যাওয়ায় পরিবারগুলো এখন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোন্নাফ জানান, রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহ গ্রামে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস ছিল। এবারের বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনের কারণে ৩০০ পরিবারই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কাকিনা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন বলেন, তিস্তার ভাঙনে স্কুল, মসজিদ ও আশ্রয়ণ কেন্দ  কিছুই নেই। রুদ্রেশ্বর ও শংকরদহ এলাকাটি এখন বিরানভূমি। এর সামনে দিয়ে বাঁধ না দিলে এ গ্রাম ২টির বাকি অংশটুকুসহ বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তার পেটে যাবে। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়বে মহিপুর-কাকিনা তিস্তা সড়ক সেতু।

সর্বশেষ খবর