টাঙ্গাইলের সখীপুরে পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে দলবদ্ধ কুকুরের আতঙ্ক। এতে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ও পথচারীসহ জনসাধারণের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে পৌরশহরে প্রধান প্রধান সড়ক, চৌরাস্তা, মোড় এবং ছোট-বড় বাজারে দিনে-রাতে ২০-৩০ টি কুকুর একসঙ্গে দল বেঁধে চলাচল করছে। উত্তরামোড়, জেলখানা মোড়, উপজেলা রোড, মন্দির পাড়া, ঢাকা রোড, গার্লস স্কুল রোড, মহিলা কলেজ রোডসহ উপজেলার কচুয়া বাজার, নলুয়া বাজার, কালিয়া বাজার, ষোলা প্রতিমা বাজার, দেওদিঘী বাজার এলাকা এদের বেশি দেখা যায়। এ বিষয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্কুলের একাধিক অভিভাবক বলেন, আমাদের কোমলমতি শিশুরা একা একা স্কুলে যেতে পারে না কুকুরের আতঙ্কে। মাঝেমধ্যে আমরাও ভয় পাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত এক থেকে দেড় মাসে প্রায় শতাধিক মানুষ কুকুরে কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া এই হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর কোনো চিকিৎসা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাহীনুর আলম বলেন, সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন এবং কুকুর বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি বা জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইনজেকশন বরাদ্দ নাই। রোগী আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সখীপুর পৌর কাউন্সিলর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, কুকুর নিধনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা কিছুই করতে পারছি না। পৌরশহরের সব কুকুরকে বন্ধ্যাকরণের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।