শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

কৃষকের টমেটো পচছে খেতে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কৃষকের টমেটো পচছে খেতে

দিনাজপুরে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে এ বছর। ভাল ফলনে বেশি আয়ের স্বপ্ন দেখছিল কৃষকরা। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ এ জেলার টমেটো চাষিরা। আবার বিক্রি কমে যাওয়ায় অনেক কৃষকের টমেটো খেতেই নষ্ট হচ্ছে। জানা যায়, অন্য সময় দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা দিনাজপুর থেকে শত শত ট্রাক টমেটো নিয়ে যেতেন। বর্তমানে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা লকডাউন থাকায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। কমে গেছে বাইরের ব্যবসায়ী আসা। এ অবস্থায় উৎপাদিত টমেটো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বেশি উৎপাদন হয়। জেলা সদর, ফুলবাড়ী, চিরিরবন্দর, বিরল, কাহারোল, বোচাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক টমেটো চাষ হয়। প্রতি মৌসুমে দিনাজপুরের কাউগাঁ, গাবুড়া ও পাঁচবাড়ী বাজারে কয়েক কোটি টাকার টমেটো বেচাকেনা হয়। এ টমেটো যায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায়। এখন দুই-তিন টাকা কেজি দরেও টমেটো বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে উৎপাদন খরচ তো উঠছেই না উল্টো লোকসান গুনতে হচ্ছে। সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের কৃষক মনো কুমার রায় জানান, ভাল লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে টমেটো আবাদ করেছি। করোনা ভাইরাসে সব প্রত্যাশা শেষ হয়ে গেছে।

পাইকার আসে না। কষ্টের ফসল খেতেই নষ্ট হচ্ছে। একই অবস্থা জেলার অন্য টমেটো চাষিদেরও। এক বিঘা জমিতে টমেটো আবাদে খরচ হয় ৫০-৫৫ হাজার টাকা। কিন্তু এখন প্রতি মণ বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। যা স্বাভাবিক সময়ে বিক্রি হতো ৪০০-৫০০ টাকায়। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, কৃষকের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে এবং চাষিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সে জন্য সরকার আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে। এবার জেলায় সাড়ে ১১৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার টন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর