শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পানিবন্দী ১৩০০ পরিবার

বাগেরহাট ও শ্রীপুর প্রতিনিধি

পানিবন্দী ১৩০০ পরিবার

গাজীপুরের শ্রীপুরে পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বায়েন্দা বাজারে জলাবদ্ধতার কারণে তিন শতাধিক পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে রায়েন্দা শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বায়েন্দা বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ঘর থেকে নামতে পারছেন না। ঘরের মধ্যেও পানি জমে আছে। টয়লেট তলিয়ে যাওয়ায় মল-মূত্রের পানিতে চারদিক একাকার। স্বাভাবিক কাজকর্ম-চলাচলও করতে পারছে না মানুষ। পানিবন্দী অবস্থায় থাকা গৃহবধূ রুমান জানান, ঘরে পানি ওঠায় বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। সাপ, জোঁক, কেঁচোর উৎপাত বেড়েছে। রাতে ঘুমাতে ভয় লাগে। ফারুক নামে এক ব্যক্তি জানান, তার ঘরের মধ্যে হাঁটুপানি। রান্না বন্ধ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। এ অবস্থায় স্ত্রী-সন্তান শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। ওই এলাকার মিলন, হিরু, রফিক জানান- তাদের প্রত্যেকের ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। ঘরের বাইরে কোমর সমান পানি। পানিতে তলিয়ে থাকায় টয়লেট ব্যবহারের অবস্থা নেই। পচা পানিতে নামলেই চুলকানি শুরু হয়। প্রায় এক মাস ধরে আমরা ৩০০-৪০০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছি। রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, রায়েন্দা শহর রক্ষাবাঁধে পানি নিষ্কাশনের জন্য ১০টি ড্রেন করার কথা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বার বার বলার পরও তা করছে না। শরণখোলার ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের লোক দায়ী। ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমাধান করে তবেই বাঁধের কাজ করা উচিৎ ছিল। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের  তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। গাজীপুরের শ্রীপুরে কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নগর হাওলা গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সামান্য বৃষ্টিতেই তাদের বাড়িঘরে পানি জমে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে ওই গ্রামের কৃষক জমির ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পানিবন্দী এলাকার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এই গ্রামের নিচু জমিতে এক সময়ে তিন ফসল হতো।

এখানকার পানি সরকারি খাল দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়তো। জৈনা বাজার-বাঁশবাড়ী সংযোগ সড়কের ব্রিজ ভরাট করায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা কমে গেলে ওই গ্রামে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর