শনিবার, ২০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা সাজানো, দাবি পরিবারের

কক্সবাজার প্রতিনিধি

যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের মামলাকে সাজানো বলে অভিযোগ করে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসির শাস্তির দাবি করেছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের  নেতারা। টেকনাফের সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেনকে ইয়াবা উদ্ধার মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে যুবলীগ নেতা নুর হোসেনের পরিবারের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়। এতে ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুর হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বশরী। এতে রাবেয়া বশরী বলেন, গত ১৪ জুন সকালে স্থানীয়  লোকজনের মাধ্যমে তার স্বামী ও ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানতে পারেন সাবরাং ইউনিয়নের ম লপাড়া ও বেইঙ্গাপাড়ার কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি চালান উত্তোলন করছে। খবর পেয়ে নুর হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আলী আহমদ ও  চৌকিদার মোহাম্মদ ইসলাম ওরফে চানুকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত দীল মোহাম্মদ ওরফে দিলু, শাহ আলম ও দীল মোহাম্মদ ওরফে লালাইয়াকে আটকের চেষ্টা করেন। এরপর ওই দিন বেলা ১২টার দিকে বিষয়টি মোবাইলফোনে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে অবহিত করেন। বিষয়টি অবহিত করা হলে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলে ওসি নিজে আসতে না পারলেও পুলিশের ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও ঘটনাস্থলে পুলিশ না আসায় নুর হোসেন দ্বিতীয়বার আবারও ওসিকে  ফোন করে যোগাযোগ করেন। পরে রাত ১২টার দিকে টেকনাফ থানার এএসআই রামধরের নেতৃত্বে পুলিশের কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে। নুর  হোসেনের স্ত্রী বলেন, পুলিশ পৌঁছার পর তার স্বামী নুর হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও  চৌকিদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বেইঙ্গাপাড়ার আবদুস সালাম ওরফে সালেমের বাড়িতে  অভিযান চালিয়ে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নুর হোসেনের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, পরে সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন তার স্বামীকে আগের দিন (১৪ জুন) সাবরাংয়ের বেইঙ্গাপাড়া থেকে ইয়াবা উদ্ধার করার ঘটনায় দায়ের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি স্বামী হোসেনের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে টেকনাফ থানার ওসির  যোগসাজশপূর্বক ঘটানো ঘটনা প্রকাশ্যে বা গোপনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদন্তের দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর