দিনাজপুরের কাহারোলে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে সোলার লাইটের আলোতে বদলে গেছে জীবনযাত্রার মান। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠছে এ সব বাতি। আবার ভোরের আলো ফুটতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে চাপ কমছে বিদ্যুতের। আবার লোডশেডিংয়ের ঝামেলা নেই। সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে গ্রামীণ জনপদের মানুষের মধ্যে শহুরে পরিবেশের ছোঁয়া লেগেছে। গত দুই বছরে দিনাজপুরের কাহারোলের ছয় ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাতে নির্জন অন্ধকার সড়কে এ সব লাইট স্থাপন করা হয়। ফলে মানুষের চলাচল নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি কমেছে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি। তাছাড়া রাতে টহলরত পুলিশ স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়দের দাবি, কোনো স্থানে লাইটে ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত যেন সেটি মেরামত বা বদলে দেওয়া হয়। পথচারীরা জানান, আগে অন্ধকার সড়কে চলাচল করতে ভয় পেতাম। এখন ঝুঁকিপূর্ণ সড়কেও সোলার লাইট জ্বলে। তাই চলতে কোনো ভয় বা আতঙ্ক লাগে না। কাহারোল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, স্থানীয় এমপির মনোরঞ্জন শীল গোপালের সহযোগিতায় টিআর, কাবিটার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১২০টি সৌর বিদ্যুতের স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরে হোম সিস্টেম সোলার বিতরণ করা হয়েছে।