রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আত্রাইয়ের শুঁটকি যাচ্ছে সারা দেশে

নওগাঁ প্রতিনিধি

আত্রাইয়ের শুঁটকি যাচ্ছে সারা দেশে

নওগাঁর আত্রাইয়ে শুঁটকিপল্লীতে কর্মব্যস্ত শ্রমিকরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উত্তরের মৎস্যভান্ডারখ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এছাড়া এখানে রয়েছে শতাধিক বিল। আত্রাইয়ে উৎপাদিত দেশি মাছের শুঁটকির কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশে নয়, ভারতেও যাচ্ছে এ শুঁটকি। করোনার প্রভাবে               ভারতে শুঁটকি রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। জানা যায়, চলতি মৌসুমে প্রায় ৬ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আত্রাই রেলস্টেশন সংলগ্ন ভরতেতুলিয়া গ্রাম মূলত শুঁটকির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এখানকার দেশি প্রজাতির মিঠা পানির ছোট মাছের শুঁটকি চালান হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। চলতি বছর দফায় দফায় বন্যার কারণে আত্রাইয়ের বাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত ছোট মাছ। বর্তমানে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শুঁটকি পল্লীর বাসিন্দারা। দ্রুত ভারতে শুঁটকি রপ্তানি শুরু করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের ছয় মাস আত্রাইয়ের পল্লীতে শুঁটকি মাছ তৈরি করা হয়। বাকি ছয় মাস অলস সময় কাটে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩ হাজার মানুষ। তেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী রাম পদ শীল বলেন, চলতি মৌসুমে কাঁচা মাছ আমদানি ভালো থাকলেও ভারতে শুঁটকি রপ্তানি বন্ধ থাকায় কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবুও লাভের আশা করছি। আরেক ব্যবসায়ী রহিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ (শুঁটকি তৈরির) প্রতি কেজি ১০০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতে রপ্তানি হলে আমরা ভালো দাম পেতাম। কর্মচারী হালিমা বেগমসহ অনেকে জানান, শুঁটকি তৈরি করে কোনো মতে পরিবার চলছে। কিন্তু বছরের ছয় মাস আমাদের বসে থাকতে হয়। তখন কাজকর্ম না থাকায় কষ্টে দিন কাটে। কর্মহীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ কিংবা খাদ্য সহায়তা পেলে আমরা উপকৃত হতাম। আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শুঁটকি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা আগে নদীর পানি দিয়ে মাছ পরিষ্কার করতেন। তাদের দাবি অনুযায়ী ইউএনও শুঁটকির মাছ পরিষ্কার করার জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। নিদিষ্ট খাস জায়গায় সরকার শুঁটকি পল্লী নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে হয়তো এ শিল্প আরও বিকশিত হতো।

সর্বশেষ খবর