বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীর তীব্র স্রোতে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার আট ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি জমি। সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, সাঘাটা ও ভরতখালী  ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, হাটবাড়ী গ্রামে নদীভাঙনে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার, পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি, গাছপালাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ পর্যন্ত যমুনার ভাঙনে দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির কারণে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, ভুষিরভিটা, রতনপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী, গলনা ও জিয়াডাঙ্গা গ্রামে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে নদীগর্ভে  চলে যাচ্ছে বাড়িঘর, গাছপালা ও আবাদি জমি। এ ছাড়াও ফুলছড়ি সদর, ফজলুপুর ও এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা এলাকায় ভাঙনের গতি বেড়েই চলছে। বাড়িঘর, গাছপালা কেটে নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ।