বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ১১ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। কখনো কখনো বিকল বা আটকে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। ফলে দুই উপজেলা সংযুক্তকারী এ সড়কে চলাচল করা প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। জানা যায়, বগুড়ার বাঙালী এবং যমুনা নদী বেষ্টিত সারিয়াকান্দি উপজেলাটি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর লম্বা। এর মাঝামাঝি উপজেলা সদর অবস্থিত। দক্ষিণ সারিয়াকান্দির রাস্তাটিকে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও উত্তর সারিয়াকান্দির সড়কটি একেবারে বেহাল। এ রাস্তার সারিয়াকান্দি সদরের বাদশা মিয়ার বাড়ি থেকে উপজেলার শেষ সীমানা নিজ বলাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশের অবস্থা আরও নাজুক। সড়কে গর্তের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলো ভরে থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এই সড়ক দিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ৭০ হাজার লোক যাতায়াত করেন। সড়কটি দিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার সঙ্গে এবং সোনাতলা উপজেলাবাসী যেমন সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন তেমনি মোকামতলা হয়ে সরাসরি জেলাসদরে পৌঁছানো যায়। সোনাতলা ও সারিয়াকান্দিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বগুড়া শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে পরিবহনের অন্যতম মাধ্যমও এই সড়ক। ২০১০ সালে সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিল।