শিরোনাম
শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ সেতুতে দুর্ভোগে ৪০ গ্রামের মানুষ

সতর্কতামূলক সাইন বোর্ড টাঙিয়ে সেতুর দুই পাশে দেওয়া হয়েছে তবুও থেমে নেই চলাচল

বোয়ালমারী প্রতিনিধি

জরাজীর্ণ সেতুতে দুর্ভোগে ৪০ গ্রামের মানুষ

‘ক্ষতিগ্রস্ত সেতু’ সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় জরাজীর্ণ একটি সেতুতে যান চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রায় এক মাস আগে নোটিস টানিয়ে দিয়েছেন নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ। দুই সপ্তাহ ধরে কুমার নদে বর্ষার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুটির এক প্রান্তের ৩০ মিটার প্রায় ৪ ইঞ্চি দেবে গেছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন সেতু ব্যবহারকারী ৪০ গ্রামের ৫-৬ লাখ মানুষ। কর্তৃপক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে সেতু এলাকা ঘুরে জানা যায়, ১৯৮২ সালে লাইট ট্রাফিক প্রকল্পের (হালকা যানবাহন চলাচলকারী সেতু) আওতায় কুমার নদের ওপর কমলেশ্বরদী সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। সেতু এলাকায় বর্তমানে পানির গভীরতা ২০-২৫ ফুট। পুব প্রান্তে দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রাম আর পশ্চিম প্রান্তে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে মুজুরদিয়া বাজার। দাদপুর ও চাঁদপুর ইউনিয়ন এবং পাশের সালথা উপজেলার ৩০-৩৫টি গ্রামের ৫ লাখ মানুষের বোয়ালমারী উপজেলা সদরসহ আশপাশের জেলা-উপজেলায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এ সেতু। এলাকাবাসী জানান, সেতুর পুব পাশে কমলেশ্বরদী এলাকায় কয়েক শ গজের মধ্যে রয়েছে এয়াকুব আলী উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল, ডাকঘর, কমিউনিটি ক্লিনিক, শামসুল উলুম কওমি মাদরাসা, এতিমখানাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। আর পশ্চিম পাশের মুজুরদিয়া বাজার পুব দিকের বাসিন্দাদের নিত্যদিনের বাজারসদাইয়ের একমাত্র কাছের স্থান। কমলেশ্বরদী গ্রামের ব্যবসায়ী কাজী ইমরুল হাসান জানান, জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেতুটি ব্যবহার-অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। গত এক বছরে সেতুর পশ্চিম পাশ নিচে দেবে গেছে। এতে সেতুটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে চলাফেরা করছি। দাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দিয়ে লকডাউনের সময়ও প্রতিদিন ছোট-বড় বহু যান চলাচল করে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রবেশমুখের দুই প্রান্তে পিলার গেড়ে যান চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।’ উপজেলা প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারী যান চলাচলের কারণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে এলজিইডির একটি প্রকল্পের আওতায় এখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। নতুন সেতুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

সর্বশেষ খবর