নওগাঁ জেলায় ২৮ লাখ মানুষের বসবাস। এর বিপরীতে রয়েছে ১১ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও একটি জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল। নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, পিসিআর ল্যাব, করোনার জন্য আইসোলেশনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নেই। জানা গেছে, নওগাঁর ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৮১টি পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭২ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চারজন অনুমোদিত চিকিৎসক পদে কর্মরত রয়েছেন চারজন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১৫টি পদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন, মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ৩৬টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ২৫ জন, মহাদেবপুরে ৩১টির মধ্যে ১৮ জন, আত্রাইয়ে ২১ জনের স্থলে আছেন আটজন, রানীনগরে ২০ জনের মধ্যে ১২ জন, বদলগাছীতে ২৯টি পদের মধ্যে ১৯ জন, পত্নীতলায় ৩৩ জনের মধ্যে ১৮ জন, সাপাহারে ২৭ জনের মধ্যে ১৬ জন, নিয়ামতপুরে ১৮ জনের জায়গায় ১৩ জন, পোরশায় ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন এবং ধামইরহাটে ২৯ জনের মধ্যে ১৬ জন চিকিৎসক আছেন। এ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। এতে করে জেলার চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র সাধারণ মানুষ। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে সরকারি অনুমোদন থাকলেও এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। তাই বর্তমানে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর, পিসিআর ল্যাব, করোনার জন্য আইসোলেশনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নেই। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।