শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আগাম আলুতে দ্বিগুণ লাভের আশা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আগাম আলুতে দ্বিগুণ লাভের আশা

দিনাজপুর অঞ্চলে আগাম আলু রোপণ ঘিরে কৃষকের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। দ্বিগুণ লাভের আশায় মাঠে মাঠে চলছে আলু খেতে সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কাজ। আবার কোথাও আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জমি। কেউ আগাছা পরিষ্কার ও বীজ সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন। স্বল্পমেয়াদি আউশ ও আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে সেই জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণের জন্য হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তুত, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ আলু রোপণ করছেন প্রান্তিক ও মাঝারি চাষিরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান কেটে মাঠের পর মাঠ গ্রানোলা, কারেজ, এস্টারিজ, ডায়মন্ড আলু রোপণ করছেন তারা। আগাম জাতের আলু চাষের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জতিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধু আগাম আলুই চাষ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টরে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। খানসামার আঙ্গারপাড়া ইউপির পাকেরহাট আদর্শ গ্রামের আবদুস সালাম বলেন, গত বছর আগাম ধান কাটার পর ২৯ শতক জমিতে আলু আবদ করেছিলাম। আলু তুলে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দ্বিগুণ টাকা লাভ হয়েছে। এজন্য এবার আরও বেশি জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলনযোগ্য জাতের আলু রোপণ করছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় গতবারের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সালাম শাহ ১০ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, যার আলু যত আগে উঠবে সেই তত ভালো দাম পাবেন।

 গোয়ালডিহি গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের এলাকার মাটি উঁচু এবং বালু মিশ্রিত। ফলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগাম আলু চাষে তেমন ভয় থাকে না। ফলনও ভালো হয়। উৎপাদিত আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও ভূমিকা রাখে আগাম আলু। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, এ উপজেলার মাটি আগাম আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। মাঠের পর মাঠ আগাম আলু চাষে কোমর বেঁধে কাজ করছেন কৃষক। কৃষি অফিস থেকে আগাম আলু চাষে কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকি।

সর্বশেষ খবর