শিরোনাম
শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ই-জিপিতে অনাগ্রহ স্বাস্থ্য বিভাগের

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

ই-জিপিতে অনাগ্রহ স্বাস্থ্য বিভাগের

সরকারি হাসপাতালের ওষুধ ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ক্রয়ে অনিয়ম বন্ধে সরকার ২০২০ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্য বিভাগের সব প্রতিষ্ঠানে ই-জিপির (ই-গভর্মেন্ট প্রকিউরমেন্ট) মাধ্যমে দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন পরিচালক (অর্থ) ডা. মনজুর রহমান স্বাক্ষরিত সরকারি আদেশ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয় সব দফতরে। দেশের অধিকাংশ থানা পর্যায়েও কার্যকর হয়েছে ই-জিপি টেন্ডার। কিন্তু এ পদ্ধতিতে আগ্রহ নেই শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগের। ই-জিপি সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত সরকারের আইএমই বিভাগের সিপিটিইউ। এখানে আবেদন করলেই ই-জিপি সংক্রান্ত সব সহযোগিতা দেওয়া হয়। রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত শেরপুরের পাঁচটি হাসপাতালের কেউ আবেদনই করেনি। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের টেন্ডার প্রক্রিয়া যেমন নির্বিঘ্ন হচ্ছে না তেমনি সিন্ডিকেটের দাপটে অনেকে দরপত্র জমাই দিতে পারেন না। আর দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি-তো আছেই। জানা যায়, বহু বছর ধরেই শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে টেন্ডার-দুর্নীতি। সবশেষ গত বছর জেলার তিনটি উপজেলায় টেন্ডার ছিনতাই হয়েছে। সদর বাদে অপর তিনটি হাসপাতালে ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির কথাও চাউর আছে। জেলার সব প্রকৌশলসহ অন্যান্য বিভাগ ই-জিপি পদ্ধতি চালু করলেও পিছিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার কর্মকর্তাদের দাবি ই-জিপি টেন্ডার করার জন্য দক্ষ জনশক্তি তাদের নেই। আবার কেউ কেউ বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেছেন দ্রুতই তারা ই-জিপির আবেদন করবেন। সরকারের আইএমই বিভাগের সিপিটিইউর একজন কর্মকর্তা বলেন, ই-জিপি বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ লোকবলের কোনো দরকার নেই। শুধু আবেদন করলেই সিপিটিইউ থেকে সব করে দেওয়া হয়। একটি পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে। টেন্ডার জমা পড়ার পর ওই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সর্বনিম্ন দরদাতা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। ঠিকাদাররা বলছেন, ই-জিপিতে কাজ বাতিল, দুর্নীতি বা অনিয়মে ব্যক্তির কোনো ক্ষমতা নেই। নিজের হাতে ক্ষমতা রাখার জন্য বা দুর্নীতি করতেই ই-জিপির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

জেলা সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনওয়ারুর রউফ বলেন, জেলা হাসপাতালের টেন্ডার ই-জিপির আওতায় নিতে সিভিল সার্জন হিসেবে আমার স্বাক্ষরে আবেদন করা হয়েছে। হাসপাতালে পূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক না থাকায় আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। ময়মনসিংহ অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিডি ডা. শাহ আলম বলেন, ই-জিপি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কেন ওরা ই-জিপিতে যাচ্ছে না দেখা হবে। সিভিল সার্জনের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক না থাকলে সিভিল সার্জন আবেদন করলেই হবে।

সর্বশেষ খবর