মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
পঞ্চগড়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ

হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রতিদিন ডেস্ক

হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন

কনকনে শীতের সঙ্গে হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন দরিদ্র মানুষ। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুও কাঁপছে ঠাণ্ডায়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

পঞ্চগড় : হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বায়ুর প্রবাহে প্রতিনিয়ত ঠাণ্ডার তিব্রতা বাড়ছে এই জেলায়। গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রার পারদ নামছে নিচের দিকে। গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সূর্য উঠলেও উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। এ অবস্থায় নিদারুণ কষ্টে জীবন পার করছে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী। ভারতে উৎপত্তি হয়ে প্রচুর পরিমাণে নুড়িপাথর আর সিলিকন বালি নিয়ে ১৮ কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে এই নদী। নদীর পাথর ও বালি সম্পদ ঘিরে জীবন নির্বাহ করছেন প্রায় ৩০ হাজার পাথর শ্রমিক। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই শ্রমিকরা প্রতিদিন ভোর বেলা তারা নদীর পানিতে নেমে পড়েন। সারা দিন খেটে যা আয় হতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ দিয়েই সংসার চলত তাদের। কিন্তু শীতের কারণে মহাসংকটে পড়েছে পাথর শ্রমিকরা। অনেকে কাজেই যেতে পারছে না। বসে বসেই দিন পার করছেন। তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় পাথর শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছে না। তারা সংসার নিয়ে টানাপোড়েনে আছেন।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বেড়ে শৈত্যপ্রবাহ কমতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। দিনের বেলায়ও অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে। তবে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে বলে রাজারহাট উপজেলা কৃষি আবহাওয়া অফিস পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান। 

নাটোর : শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে রবি ফসলের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। শীতের কারণে কর্মজীবীরা অনেকেই সঠিক সময়ে তাদের কর্মস্থলেও পৌঁছাতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন। প্রচণ্ড শীতের কারণে রাস্তায় মানুষজনের চলাফেরা অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীরা।

সর্বশেষ খবর