সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের নজরখালী ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকছে টাঙ্গুয়ার হওরে। এতে হাওরের ৩ হাজার একর জমির বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষক। জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটলাই নদীর পানির চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওই বাঁধটি ভেঙে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির তোড়ে ভাঙা অংশের বিস্তৃতি বাড়তে থাকায় এটি মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কাউহানি গ্রামের স্থানীয় বোরো চাষি মোশারফ মিয়া বলেন, অতীতেও এই বাঁধ ভেঙে হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। এরপরও এবার অপ্রতুল বরাদ্দ দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ সরকার হাওরের ফসল রক্ষার জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি আরও জানান, নজরখালী বাঁধ পানির চাপে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতে নামেন কৃষকরা। শেষ মুহূর্তে এসে কৃষককে তাদের শ্রম ও ঘামের ফসলের সলিল সমাধি দেখতে হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান কবীর জানান, বাঁধ ভেঙে ইতোমধ্যে ২৫ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে চলে গেছে। বাঁধটি রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন। সুনামগঞ্জ পাউবোর তাহিরপুর শাখার কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন, লতিবপুর হাওরটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত নয়। তাই ওই হাওরে কাজ করা আমাদের সম্ভব হয়নি। হাওরটি পাউবোর আওতায় নিতে দুই যুগ ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন হাওরের কৃষকরা। স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরের তিনটি বাঁধ মেরামতের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সময়মতো কাজ না হাওয়ায় পানির প্রথম চাপেই বাঁধটি ভেঙে গেছে।