হঠাৎ বেড়েছে চোখ ওঠা রোগ। ভাইরাসজনিত রোগটি উপজেলাসহ গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে নতুন নতুন রোগী। এ অবস্থায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ঘরেই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ থেকে রেহাই নেই শিশুদেরও। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার হচ্ছে। এক পরিবারের একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদের হচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য, মৌসুমভিত্তিক, গ্রীষ্মকালে এ রোগ হলেও এবার দেখা দিয়েছে শরতেই। এবারের মাত্রা এতটাই যা বিগত বছরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। জলবাযু পরিবর্তন, ঘনবসতি, করোনার প্রভাবের কারণে এমনটা হতে পারে। তাফালবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হারেচ মিয়ার পরিবারে পাঁচজন সদস্য। প্রথমে তার ছোট ছেলে চোখ ওঠায় আক্রান্ত হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছে। একই গ্রামের জামাল হোসেনের পরিবারের ছয়জন সদস্যের চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত।
এভাবেই গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপেক্সের কর্মকর্তা ডা. সাইফুল হাসান জানান, এটি একটি ভাইরাস। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এটি হয়ে থাকে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ছোঁয়াচে হওয়ায় সচেতনতার বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময় শিশুদের এ বিষয়ে সচেতন করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।