আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে দিনাজপুর জেলায়। ফলে অনেক কৃষক অন্য ফসল চাষের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা, আলু ও শাক-সবজি চাষের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন কৃষক। এদিকে, আগাম জাতের ধান বিক্রি করে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি সংকটের সময়ে কাঁচা খড় বিক্রি করেও মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারছেন। ফলে মাঠ থেকে ধান কাটা মাড়াইসহ বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় এবার আগাম জাতের ধানি গুড়, ব্রি ধান-৭৫, ৮৭ ও ৪৯, বিনা ৭ ও ১৭, টিয়া, তেজ ও জটাপারি প্রভৃতি চাষ হয়েছে। ঘোড়াঘাট পৌরসভার লালমাটি গ্রামের খাদেমুল বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি এক একর জমিতে ব্রি ধান-৭৫ ও জটাপারি জাতের ধান চাষ করেছেন। এ পরিমাণ জমিতে ৫৫ মণ ধান পেয়েছেন এবং কাঁচা ধান প্রতি মণ ১১০০-১১৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আগাম জাতের ধান চাষ সম্পর্কে কৃষি অফিস জানায়, সাধারণত জুলাই মাসের শুরুতে এ ধান চাষ করতে হয়। বপন করার ১১০ দিনের মধ্যে এ ধান ঘরে তোলা যায়। আগাম জাতের ধানের ফলন যেমন ভালো হয়, তেমনি কৃষকরা কাঁচা খড় বিক্রি করে বাড়তি অর্থ পান। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন মৌসুমে ঘোড়াঘাটের চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১১ দশমিক ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৪৯ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করেন কৃষকরা। ঘোড়াঘাট উপজলো কৃষি কর্মকর্তা মো. ইখলাস হোসেন সরকার জানান, অতিরিক্ত ফসল আবাদের কথা চিন্তা করে কৃষকের আগাম জাতের ধান চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আগাম জাতের ধান চাষে ভালো ফলনসহ দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক। একই জমিতে এসব ফসল উঠানোর পর বোরো ধান চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।