সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আদিবাসী নারীদের চিন্তাধারার পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারাও। পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পাড়িয়া গ্রামের ১০টি পরিবারের নারীরা তাঁতপণ্য তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী। বদলে গেছে জীবনযাত্রা। তাদের সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অন্যরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে পীরগঞ্জ উপজেলার পাড়িয়া গ্রামের ১০ আদিবাসী নারীকে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) প্রেমদীপ প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয় তাঁতজাত পণ্য পাপোশ তৈরির প্রশিক্ষণ। এরপর নারীরা বাড়িতেই শুরু করেন কাজ। সংসারের কাজ শেষে অবসর সময়ে বাড়িতে বসেই বানান পাপোশ। সেই পাপোশ বাজারে বিক্রি করছেন তারা। ফলে সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। সন্তানের লেখাপড়াসহ পরিবারের খরচ বহনে হচ্ছে সুবিধা। প্রতিনিয়ত প্রকল্পের কর্মকর্তারা খবর রাখছেন এই নারীদের। এসব নারীর সফলতা দেখে অন্যরা পাপোশ তৈরিতে দেখাচ্ছেন আগ্রহ। প্রতিদিন কেউ বানাচ্ছেন ৫-৮টি করে পাপোশ। কেউ দিনে তৈরি করছেন ১০-১৫টি।
আদিবাসী নারীরা বলছেন, পাপোশ তৈরি করে সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার আশা তাদের। আদিবাসী নারীদের এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে ইএসডিও-জানা প্রেমদীপ প্রকল্প ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রওশন জামান চৌধুরী।