মৌলভীবাজার সমাজসেবা অফিসে প্রতিবন্ধী শিশুদের ভাতা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল বিকাশ নম্বরে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, সমাজসেবা অফিসের কতিপয় কর্মচারী ভাতা আত্মসাতের জন্য পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছেন। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা মৌলভীবাজার সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রতিবন্ধী সুমা বেগমের বোন মুন্নি বলেন, ভাতার জন্য আমাদের বিকাশ নম্বর তিনবার সমাজসেবা অফিসে দেওয়া হয়েছে। বিকাশ নম্বর লেখা ওই কাগজ এখনো আমাদের ঘরে আছে। কিন্তু সমাজসেবা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ভাতার টাকা অন্য নম্বরে পাঠিয়েছেন। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফি উদ্দিন বলেন, ২০১৬ সালে আমার শিশুর প্রতিবন্ধী নিবন্ধন করি। ভাতা পাওয়ার জন্য আমার ব্যবহৃত বিকাশ নম্বর দিই। এখনো আমার নম্বরে বিকাশে কোনো টাকা না আসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার বাচ্চার ভাতা অন্য একটি নম্বরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পৌর সমাজসেবা কর্মী প্রকাশ চন্দ্র দাস এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মৌলভীবাজার সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য কোনো অভিভাবক এর আগে ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই মৌখিকভাবে বলেছিলেন বিকাশে ভাতা পাচ্ছেন না।